শাহীন মাহমুদ রাসেলঃ
বিশ্বের পর্যটন নগরী কক্সবাজার। প্রাকৃতিক সুন্দর এ লীলা ভুমির প্রকৃত স্বাদ উপভোগ করার জন্য হাজার হাজার পর্যটক তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে ছুটে আসে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে। প্রতিদিন ২ টা থেকে শুরু হয় কক্সবাজার – চট্রগ্রাম মহাসড়কে পর্যটকবাহী বাসের মিছিল। খালি থাকে না কক্সবাজারে কোন হোটেল মোটেল। হঠাৎ শুরু হয়েগেল পরিবহন ধর্মঘট। গাড়ি চালককে যাবৎ জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার প্রতিবাদে বাংলাদেশ শ্রমিক ফেড়ারেশন ও পরিবহন মালিক সমিতির যৌথ উদ্যোগে পরিবহন ধর্মঘটের ডাকদেন। সে সুবাদে ২৮ অক্টোবর ভোর ৬ টা থেকে টানা দুদিনের জন্য শুরু হয় পরিবহন ধর্মঘট।
ফলে কক্সবাজারে আটকা পড়ে শতাধিক পর্যটকবাহী বাস। তারা নির্দিষ্ট সময়ের কক্সবাজারে ভ্রমণ করতে এসে পরিবহন ধর্মঘটের কবলে পড়ে। এদিকে হোটেল মোটলের রুমের দামও বেড়ে যাচ্ছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ বিমানের টিকেটও পাওয়া যাচ্ছে না। পর্যটকদের অর্থও শেষের পথে। এছাড়া কক্সবাজারে শতাদিক লবনবাহী কভার্ড ভ্যান ও মাছের গাড়ি আটকা আছে। যা দেশের অর্থনীতির ক্ষেত্রে প্রচুর প্রভাব পড়া সম্ভাবনা রয়েছে।
২৮ অক্টোবর ভোর ৬ টা থেকে ৩০ অক্টোবর সকাল ৮ টা পর্যন্ত কোন যাত্রীবাহী গাড়ি বা বাস ছেড়ে যায় নাই।
যাত্রীরা জানান, এভাবে অবরোধ চলতে থাকলে তারা কিভাবে গন্তব্য স্থানে পৌছতে পারবে তা নিয়ে শংকায় রয়েছে।
কক্সবাজার শ্রমিক ফেড়ারেশনের নেতারা সাংবাদিকদের বলেন, সরকার আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আমাদের ধর্মঘট চলবে।